নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসার সহজ গাইড লাইন


  • সর্বপ্রথম আপনাকে একটা ব্যবসা নির্বাচন করতে হবে অর্থাৎ আপনি যে ব্যবসা করতে ইচ্ছুক আপনাকে যে ব্যবসাটা করতে ভালো লাগবে সেটা করতে হবে কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে আপনি যে ব্যবসা পছন্দ করেন আপনি যে ব্যবসা করতে ইচ্ছুক ক্রেতাদের মধ্যে সেই ব্যবসার চাহিদা কেমন সেটা আপনাকে জানতে হবে।
  • একটি ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য ঝুঁকি সর্বদা বিদ্যমান। আপনি যদি এমন ব্যবসা বেছে নেন যেখানে মালিক আপনি একাই সেখানে ঝুঁকি কম। আবার এমনও কিছু ব্যবসা আছে যেগুলোর ঝুঁকি অনেক বেশি কিন্তু লাভবান হওয়ার আশাও হয় বেশি। তাই আপনি যে ব্যবসাটি করবেন সে ব্যবসার ঝুঁকি আগে পরিমাপ করতে হবে অর্থাৎ সে ব্যবসার ঝুঁকি  কতটুকু হবে সেটা আপনাকে জানতে হবে। 
  • প্রত্যেকটা ব্যবসার ঝুঁকি থাকে। যেখানে ঝুঁকি নেই সেখানে ব্যবসার লাভ মুনাফা নেই। ব্যবসার মূলনীতি হচ্ছে ব্যবসায় ঝুঁকি যত বেশি লাভবান হওয়ার আশাও তত বেশি। 
  • তারপরে আপনাকে বিবেচনা করতে হবে যে আপনি যে ব্যবসাটি করছেন সে ব্যবসার প্রতিযোগিতা কেমন অর্থাৎ আপনাকে টেক্কা দেওয়ার মতন কয়জন সে ব্যবসা করছে কয়জন সে ব্যবসায় নেমেছে এবং তারা কিভাবে সেই ব্যবসাটাকে ধরে রেখেছে। 
  • আপনি যে ব্যবসাটি করবেন সে ব্যবসা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই মূলধন সংগ্রহ করতে হবে। যেহেতু আপনি আগে থেকে ভেবে রেখেছেন আপনি একটা ব্যবসা করবেন সেহেতু আপনাকে সঞ্চয়কৃত টাকা ব্যবসায় মূলধন হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। যদি সঞ্চয়ী টাকা না থাকে তাহলে বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে ধার নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে যদি তাদের কাছ থেকে না পাওয়া যায় তাহলে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে। 
  • যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে একটা বড় ধরনের বিনিয়োগ অথবা ছোট ধরনের বিনিয়োগ করতে হবে। 
  • আপনার ব্যবসার পূর্ব পরিকল্পনা থাকতে হবে পূর্ব পরিকল্পনা হচ্ছে যে একটি ব্যবসা কখন কোথায় কিভাবে করতে হবে তার আগাম অর্থাৎ তার আগেই সেটা নির্বাচন করা বা নির্ধারণ করা যাতে করে পরবর্তীতে সে ব্যবসায়ের ক্ষতি সম্পর্কে আপনি ধারণা রাখতে পারেন । কোন কারনে ক্ষতি হয়েছে সে সম্পর্কে আপনি জানতে পারেন আগে থেকেই এবং এটার উপায় কি এটাকে কিভাবে সংশোধন করা যেতে পারে সেটাও পরিকল্পনা করা যেতে পারে ।
  • একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য আপনাকে দৃঢ় মনোবল রাখতে হবে ।
  • ক্ষতির সম্মুখীন হতে হব।
  • হতাশ হওয়া যাবে না ।
  • আপনাকে সৎ থাকতে হবে।
  • ভেজাল পণ্য ব্যবহার করা যাবে না ।
  • জনগণকে ঠকানো যাবে না ।
  • ক্রেতাদেরকে সৎ ভাবে পণ্য সরবরাহ করতে হবে যাতে করে আপনার ব্যবসার সুনাম বৃদ্ধি পায়। 
  • পণ্যের দাম ওজন এগুলো নির্ধারণ করে রাখতে হবে ।
  • পণ্যের দাম অধিক পরিমাণে বাড়ালে আপনার ব্যবসার ক্ষতি হতে পারে আপনার ব্যবসার সুনাম হ্রাস পেতে পারে আপনার ব্যবসার ক্রেতা কমে যেতে পারে। 
  • যারা আপনার বিশ্বস্ত ক্রেতা তারা অবশ্যই আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসবে আপনার কাছ থেকে পণ্য সেবা সংগ্রহ করবে আপনাকে অবশ্যই সৎ থাকতে হবে এবং তাদেরকে সৎভাবে পণ্য বা সেবা সরবরাহ করতে হবে। 


নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসার সহজ গাইড লাইন সম্পর্কে আরো কিছু ব্যাখ্যা নিজে উল্লেখ করা হলো :

১. যেকোনো ব্যবসা করার আগে এটা মাথায় রাখতে হবে ব্যবসাটি বৈধ না অবৈধ। আইনের দিক বিবেচনা করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা উচিত। ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন করা প্রয়োজনীয় ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করা।

২. সর্বপ্রথম যারা নতুন ব্যবসায়ী যারা নতুন উদ্যোক্তা তাদের অবশ্যই সহজ ব্যবসা খুঁজে নিতে হবে মুনাফা কম হোক কিন্তু ছোট ধরনের ব্যবসা শুরু করতে হবে।

৩. শুরুতে মুনাফা কম হবে ক্ষতি হবে কিন্তু ধৈর্য ধরতে হবে ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলার জন্য এবং সুনাম পূর্ণ করার জন্য পরিশ্রমের অভাব নেই এবং ধৈর্যের ও কোন অভাব নেই।

৪. যত ছোট ব্যবসায় হোক না কেন পরিশ্রমের অভাব নেই পরিশ্রম করতে হবে চেষ্টা করতে হবে হাল ছাড়া যাবে না যেভাবে হোক ধৈর্য ধরে নিজের প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করাতে হবে 

৫. ক্রেতাদেরকে সবসময়ই উন্নত মানের পণ্য বা সেবা সরবরাহ করতে হবে। যাতে করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বাড়ে। প্রতিষ্ঠানের আই বৃদ্ধি পায়। 

৬. একজন উদ্যোক্তাকে সব সময়ই লক্ষ্য রাখতে হবে তার ক্রেতাদের চাহিদা কেমন এবং চাহিদা অনুযায়ী তাদের ক্রয় ক্ষমতা সক্ষম কিনা সেটাও একজন উদ্যোক্তাকে জানতে হবে। 

৭. আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অবশ্যই বিজ্ঞাপন দিতে হবে। ক্রেতারা জানতে পারবে আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপনার প্রতিষ্ঠানে কোন পণ্য কি পরিমান সরবরাহ করা হয় কোন পণ্যের চাহিদা কেমন কোন পণ্যের দাম কেমন ওজন কেমন আকার আকৃতি কেমন আকর্ষণীয়তা কেমন এগুলো সব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি প্রচার করতে পারবেন এবং আপনি অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার করতে পারবেন অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানকে সবার সামনে উপস্থাপন করতে পারবেন।

৮. প্রতিদিন কি পরিমান আয় হচ্ছে কি পরিমান ব্যয় হচ্ছে সেগুলো হিসাব করে রাখতে হবে কি পরিমাণ মুনাফা হচ্ছে এগুলো হিসাব করে রাখতে হবে । যদি আয়ের থেকে ব্যয়ের পরিমাণ বেশি হয় তাহলে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কি করলে এ ক্ষতি এড়ানো যায় সে সম্পর্কে বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে । ব্যবসার উন্নতির জন্য নতুন কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ কতটুকু ছিল তার রিপোর্ট রাখতে হবে।

৯. আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটা সুন্দর নাম থাকতে হবে। আকর্ষণীয় যেন হয় ক্রেতারা দেখলে যেন আকর্ষিত হয় এমন একটা নাম রাখতে হবে এবং আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

১০. সর্বশেষ কাজ ধৈর্য ধরা। কেননা কোন ব্যবসায় তাড়াতাড়ি সফলতা আসে না। নিজের দক্ষতা সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url